মিয়ানমার সফরে গিয়ে সেদেশের প্রেসিডেন্ট হতিন কিয়াও, ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি ও সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই। রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনার পরদিন রোববার তিনি মিয়ানমারের নেতাদের সঙ্গে এ সাক্ষাৎ করেন।
গত আগস্টের শেষের দিকে রাখাইনে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার জবাবে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ক্লিয়ারেন্স অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। এই অভিযান শুরুর পর ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছে। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছেন, সেনাবাহিনী এবং উগ্র বৌদ্ধরা রাখাইনে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে, বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে।
জাতিসংঘ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই অভিযানকে জাতিগত নিধন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। রাখাইনে সেনাবাহিনীর রক্তাক্ত এই অভিযানের জেরে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সমালোচনার মুখে রয়েছে মিয়ানমার। পশ্চিমা বিশ্ব থেকে একঘরে হয়ে পড়ার সময় থেকেই মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে চীন। রোহিঙ্গা নিপীড়নের জেরে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে বেইজিং।
শনিবার ঢাকায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক উপায়ে সমাধান করা উচিত। এই সঙ্কটে বাইরের পক্ষগুলোর জড়িয়ে পড়া অনুচিত।
রোববার নেইপিদোতে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতিন কিয়াও, ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি ও সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লেইংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সোমবার দেশটিতে এশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে নেইপিদোতে। বৈঠকে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে জোরালো আলোচনা হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
Leave a Reply